৯ বছরে ৩ গুণ বেড়েছে উচ্চশিক্ষিত বেকার সংখ্যা বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
- By Jamini Roy --
- 16 October, 2024
গত নয় বছরে দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে বলে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৩ সালে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালে এসে বেড়ে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছে। চাকরির বাজারে শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চাকরি না পাওয়ার বিষয়টিকে এই বৃদ্ধির একটি বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছর প্রায় ১২ লাখ মানুষ চাকরি হারানোর কারণে চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়া, দেশের মোট কর্মশক্তির ৫ শতাংশের কিছু বেশি সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থাকলেও বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংক আরও জানিয়েছে, অনেক দেশ তরুণ উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ তৈরিতে নীতিগত সহায়তা প্রদান করলেও, বাংলাদেশের তরুণদের নীতিগত সহায়তার অভাব এবং অর্থায়নের সুযোগ সীমিত হওয়ার কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারীদের জন্য ব্যাংকগুলোর জেন্ডার বৈষম্য ও জামানতের অভাবে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, শহরের তরুণরা চাকরি পেতে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। কর্মসংস্থানের বড় অংশ এখনো কৃষি খাতে, যেখানে অনেক কাজ অনানুষ্ঠানিকভাবে হয় এবং মজুরিও কম। শিল্প ও সেবা খাতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়নি।
প্রতিবেদনটি আরও উল্লেখ করেছে যে, দেশের উচ্চশিক্ষিত স্নাতকদের দক্ষতা ও চাকরির বাজারে চাহিদার মধ্যে অসামঞ্জস্যের কারণে বেকারত্ব বাড়ছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলক বেশি। ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সামগ্রিক বেকারত্ব কমলেও, তরুণ বয়সী নারীদের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ এখনো বেকার। এতে বোঝা যায় যে, উচ্চশিক্ষা শেষ করার পরও নারীরা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ১ শতাংশ হলেও, এই খাতে কর্মসংস্থান ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে, যা বেকারত্ব বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।